৩০২
পূজা - উৎসব
পূজা - উৎসব
৩০২ এসেছে সকলে কত আশে দেখো চেয়ে— হে প্রাণেশ, ডাকে সবে ওই তোমারে॥ এসো হে মাঝে এসো, কাছে এসো, তোমায় ঘিরিব চারি ধারে॥ উৎসবে মাতিব হে তোমায় লয়ে, ডুবিব আনন্দ-পারাবারে॥
৩০৩
পূজা - উৎসব
পূজা - উৎসব
৩০৩ ধ্বনিল আহ্বান মধুর গম্ভীর প্রভাত-অম্বর-মাঝে, দিকে দিগন্তরে ভুবনমন্দিরে শান্তিসঙ্গীত বাজে॥ হেরো গো অন্তরে অরূপসুন্দরে, নিখিল সংসারে পরমবন্ধুরে, এসো আনন্দিত মিলন-অঙ্গনে শোভন মঙ্গল সাজে॥ কলুষ কল্মষ বিরোধ বিদ্বেষ হউক নির্মল, হউক নিঃশেষ— চিত্তে হোক যত বিঘ্ন অপগত নিত্য কল্যাণকাজে। স্বর তরঙ্গিয়া গাও বিহঙ্গম, পূর্বপশ্চিমবন্ধুসঙ্গম— মৈত্রিবন্ধনপুণ্যমন্ত্র-পবিত্র বিশ্বসমাজে॥
৩০৪
পূজা - উৎসব
পূজা - উৎসব
৩০৪ কী গাব আমি, কী শুনাব, আজি আনন্দধামে। পুরবাসী জনে এনেছি ডেকে তোমার অমৃতনামে॥ কেমনে বর্ণিব তোমার রচনা, কেমনে রটিব তোমার করুণা, কেমনে গলাব হৃদয় প্রাণ তোমার মধুর প্রেমে॥ তব নাম লয়ে চন্দ্র তারা অসীম শূন্যে ধাইছে— রবি হতে গ্রহে ঝরিছে প্রেম, গ্রহ হতে গ্রহে ছাইছে। অসীম আকাশে নীলশতদল তোমার কিরণে সদা ঢলঢল, তোমার অমৃতসাগর-মাঝারে ভাসিছে অবিরামে॥
৩০৫
পূজা - উৎসব
পূজা - উৎসব
৩০৫ সফল করো হে প্রভু আজি সভা, এ রজনী হোক মহোৎসবা॥ বাহির অন্তর ভুবনচরাচর মঙ্গলডোরে বাঁধি এক করো— শুষ্ক হৃদয় করো প্রেমে সরসতর, শূন্য নয়নে আনো পুণ্যপ্রভা॥ অভয়দ্বার তব করো হে অবারিত, অমৃত-উৎস তব করো উৎসারিত, গগনে গগনে করো প্রসারিত অতিবিচিত্র তব নিত্যশোভা। সব ভকতে তব আনো এ পরিষদে, বিমুখ চিত্ত যত করো নত তব পদে, রাজ-অধীশ্বর, তব চিরসম্পদে সব সম্পদ করো হতগরবা॥
৩০৬
পূজা - উৎসব
পূজা - উৎসব
৩০৬ হৃদিমন্দিরদ্বারে বাজে সুমঙ্গল শঙ্খ॥ শত মঙ্গলশিখা করে ভবন আলো, উঠে নির্মল ফুলগন্ধ॥
৩০৭
পূজা - উৎসব
পূজা - উৎসব
৩০৭ ওই পোহাইল তিমিররাতি। পূর্বগগনে দেখা দিল নব প্রভাতছটা, জীবনে-যৌবনে হৃদয়ে-বাহিরে প্রকাশিল অতি অপরূপ মধুর ভাতি॥ কে পাঠালে এ শুভদিন নিদ্রা-মাঝে, মহা মহোল্লাসে জাগাইলে চরাচর, সুমঙ্গল আশীর্বাদ বরষিলে করি প্রচার সুখবারতা— তুমি চির সাথের সাথি॥
৩০৮
পূজা - উৎসব
পূজা - উৎসব
৩০৮ আজি বহিছে বসন্তপবন সুমন্দ তোমারি সুগন্ধ হে। কত আকুল প্রাণ আজি গাহিছে গান, চাহে তোমারি পানে আনন্দে হে॥ জ্বলে তোমার আলোক দ্যুলোকভূলোকে গগন-উৎসবপ্রাঙ্গণে— চিরজ্যোতি পাইছে চন্দ্র তারা, আঁখি পাইছে অন্ধ হে॥ তব মধুরমুখভাতিবিহসিত প্রেমবিকশিত অন্তরে— কত ভকত ডাকিছে, ‘নাথ, যাচি দিবসরজনী তব সঙ্গ হে।’ উঠে সজনে প্রান্তরে লোকলোকান্তরে যশোগাথা কত ছন্দে হে— ওই ভবশরণ, প্রভু, অভয় পদ তব সুর মানব মুনি বন্দে হে॥